সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৫ অপরাহ্ন
বিএনপি সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের চট্টগ্রামে এনে সমাবেশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি জানান, বিএনপি তিনমাস হাঁকডাক করে মহাসমাবেশ নাম দিয়ে একটি ফ্লপ সমাবেশ করেছে। আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ড. হাছান মাহমুদ জানান, আমরা জনগণকে নিয়েই আগামী মাসে গণসমাবেশ ও মিছিল করবো চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি উপজেলা ও থানায়। তার পরে চট্টগ্রাম শহরে আমরা জেলা সমাবেশ করবো। তখন আপনারা দেখবেন ইনশাল্লাহ আমাদের জেলা সমাবেশ কেমন হয়। তিনি আরো বলেন, বিএনপি চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ করেছে, সেই সমাবেশ থেকে তারা নানা ধরনের আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছে। সেই সমাবেশে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়েছে। চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির একটি ছক এঁকেছে। সেই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমাদের করণীয় সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য আজকে বসেছি।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি চট্টগ্রামে যেই সমাবেশ করেছে, সেই সমাবেশের প্রস্তুতি তারা দীর্ঘ তিনমাস ধরে নিয়েছে। প্রস্তুতি নিয়ে তারা বলেছিল, ১৫ লাখ মানুষের সমাগম হবে। এখান থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার, টেকনাফের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার, সেখান থেকেও মানুষ এনেছে। তারা পলোগ্রাউন্ড মাঠের চল্লিশ শতাংশ পেছনে রেখে মঞ্চ করেছে। আর সামনের যেই অংশ তার অর্ধেকও পূর্ণ হয়নি। অর্থাৎ পলোগ্রাউন্ড মাঠের একতৃতীয়াংশও ঠিকমত পূর্ণ হয়নি। চট্টগ্রামে জব্বারের বলি খেলায় যত মানুষ হয়, তারচেয়েও অনেক কম মানুষ হয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, জব্বারের বলিখেলায় অনেক বেশি মানুষ হয়। বিএনপি হাঁকডাক করেও মহাসমাবেশ নাম দিয়ে একটি ফ্লপ সমাবেশ করেছে।
বিএনপির সমালোচনায় তথ্যমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি সন্ত্রাস নৈরাজ্যের পথেই হাঁটছে, তারা যাতে কোনো সংঘাত সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য আমাদের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়েছি। কারণ তারা সংঘাত চায়। তবে তারা সংঘাতের পথে হাঁটলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান মিতা, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, দিদারুল আলম, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।